15 Aug 2024 | 12:21 PM
ঢাকার চাকচিক্যময় জীবনের ব্যস্ততা থেকে একটু মুক্তি পাওয়ার জন্য সবাই যেন একদিকে ছুটে চলে। অফিস আর বাসার মাঝে দিন পার করতে করতে অনেকেই ক্লান্ত। সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনগুলো শেষে একদিনের বিশ্রামও যেন পূর্ণ শান্তি এনে দেয় না। চন্দ্রিমা উদ্যান, হাতিরঝিল, রমনা পার্ক কিংবা পূর্বাচল—ঢাকার নানা বিনোদন স্পটগুলোতে এক টুকরো স্বস্তি খুঁজতে নগরবাসীর ভিড় লেগে থাকে। কিন্তু এসব জায়গায় ঘুরে বেড়ালে কৃত্রিম সৌন্দর্যও একসময় অনেকটা অভ্যস্ত মনে হতে পারে।
কখনো কখনো পাহাড়ের চূড়ায় উঠে সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে নিজেকে মেলানোর তীব্র আকাঙ্ক্ষা মনে উঁকি দেয়। সপ্তাহের শেষদিনের ছুটিতে যদি একটু বিশ্রাম চান, তবে ঢাকার কাছেই সীতাকুন্ডের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন—যেখানে পাহাড় আর সমুদ্র মিশে এক চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি করে। একদিনের এই সফরে আপনি সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং পতেঙ্গা ঘুরে আসতে পারেন। পরিকল্পনা সঠিক হলে, একদিনের মধ্যে আরও কিছু আকর্ষণীয় জায়গা দেখা সম্ভব—গুলিয়াখালী সৈকত, খৈয়াছড়া ঝর্ণা, এবং বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পারবেন।
ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে যেকোনো সুবিধাজনক বাসে চড়ে সীতাকুন্ড বাসস্টপে পৌঁছাতে হবে, সীতাকুন্ড বাসস্টপ থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে পৌঁছানোর জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করতে পারেন। পাহাড়ে উঠার আগে নিচের দোকান থেকে পর্যাপ্ত পানির বোতল সংগ্রহ করা উচিত। সম্ভব হলে যত সকালে পাহাড়ে ওঠা যায়, ততই ভালো। দিন বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের তাপ বেড়ে যায়, যা পাহাড়ে উঠাকে অনেক বেশি কষ্টকর করে তুলতে পারে। তাই সকাল বেলায় উঠলে আরোহী হিসেবে আপনি অনেক বেশি আরামদায়ক অভিজ্ঞতা পাবেন।
সকালে পাহাড়ে ওঠার আগে ভারি নাস্তা না করে, বরং পাহাড়ের নিচ থেকে হালকা কিছু নিয়ে শুরু করা ভাল। এতে করে চলার পথে আপনাদের শরীর বেশি ভারি লাগবে না। পাহাড়ে পৌঁছে গেলে সবাই মিলে একসাথে বসে হালকা নাস্তা করার সুযোগ পাবেন, যা ভ্রমণের আনন্দ আরও বাড়িয়ে তুলবে। উঠতে এবং নামতে নামতে মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া হলে শরীরের ক্লান্তি কমে যাবে এবং যাত্রা হবে আরও আরামদায়ক।
পাহাড় থেকে নেমে আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন গুলিয়াখালী সৈকত, খৈয়াছড়া ঝর্ণা ও বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত দেখতে যাবেন নাকি পতেঙ্গা সৈকতে গা ভেজাবেন। সীতাকুণ্ড থেকে পতেঙ্গা সৈকতে পৌঁছাতে প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। পতেঙ্গা সৈকতে পৌঁছে খাবার নিয়ে চিন্তার কিছু নেই, কারণ এখানে প্রচুর হোটেল আছে। বেশিরভাগ হোটেলে বিভিন্ন প্যাকেজে খাবার পাওয়া যায়। সামুদ্রিক মাছ, ভর্তা, ডাল ও ভাতের মতো প্যাকেজও রয়েছে। তাই ভালোভাবে দেখে-শুনে প্যাকেজটি নির্বাচন করুন এবং পুরো দিনটি নিজের মতো করে উপভোগ করুন।