18 Jul 2024 | 04:58 PM
ইসলামে ভ্রমণের গুরুত্ব অসীম। মহান আল্লাহ মানুষকে বিশ্বের সমস্ত জায়গায় ভ্রমণের আদেশ দিয়েছেন। প্রতিটি যুগে নবী-রাসুলগণ মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করেছেন, বিভিন্ন দেশে ঘুরে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে তৎকালীন শামে ভ্রমণ করেছিলেন। তাঁর সাহাবীরা ইসলামের দাওয়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিক্ষা-দীক্ষার উদ্দেশ্যে পৃথিবীজুড়ে প্রচারিত হয়েছেন।
শিক্ষা, ব্যবসা, চিকিৎসা বা বিনোদন—ভ্রমণ যে কোনো উদ্দেশ্যেই হোক, যদি ইসলামের শিষ্টাচার ও নির্দেশানুযায়ী হোক, তাকে ইবাদতে পরিণত করা হয় এবং বিপুল পুণ্য লাভ করা যায়। ভ্রমণকারীদের জন্য ইসলাম কিছু আদব ও শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়েছে, যা অনুসরণ করা বরকতের মাধ্যম। হাদিসের আলোকে গুরুত্বপূর্ণ ১০ ইসলামি শিষ্টাচার এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
(১) ভ্রমণের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য শুদ্ধ করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দেওয়া। (২) পরিকল্পনা করে দলবদ্ধ হয়ে ভ্রমণ করা এবং একজন দলনেতা নির্ধারণ করা। (৩) উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে এবং সম্ভব হলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া। (৪) অভিভাবকের অনুমতি, বড়দের দোয়া এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করা। (৫) নিরাপদ সফরের জন্য দোয়া করতে করতে পথ চলা এবং গুনাহের কাজ পরিহার করা।
(৬) সফরসঙ্গীদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকা এবং তাঁদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা। (৭) মানুষের চলার পথ বন্ধ করে বিশ্রাম-আনন্দ ইত্যাদি করা থেকে বিরত থাকা। (৮) ঘরে ফেরার আগপর্যন্ত পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়া এবং দলনেতার আনুগত্য করা। (৯) আল্লাহর আজাবপ্রাপ্ত অভিশপ্ত জাতিদের ধ্বংসস্থলে বেশিক্ষণ অবস্থান না করা। (১০) ফিরে আসার পর বাড়িতে প্রবেশের আগে মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা।